তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টা এভাবে বলি, কালকে মিটিংয়ের পর আমরা অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। আমাদের তিনটা মোটা দাগের দায়িত্ব এবং তিনটাই কঠিন কঠিন দায়িত্ব। একটা দায়িত্ব হচ্ছে সংস্কার, একটা দায়িত্ব হচ্ছে বিচার, একটা দায়িত্ব হচ্ছে ইলেকশন। শুধু নির্বাচন করার জন্য আমরা দায়িত্ব নেই নি। আরো দুইটা দায়িত্ব আছে, আমরা সেগুলো পালন করতে পারছি কি না।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর যার যত রকমের দাবি রয়েছে, সব দাবি নিয়ে রাস্তায় বসে যাচ্ছে, রাস্তা আটকে দিচ্ছে, একদম ঢাকা শহর অচল হয়ে পড়েছে। সে অচল অবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কি না। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো আলোচনা করে আমরা চিন্তা করলাম যে এটা জাতীয় দায়িত্ব। আর আমরা আগে থেকেই বলছি আমরা ক্ষমতা নিইনি, দায়িত্বে আছি। এ দায়িত্বটা পালন করা তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা সকলের সহযোগিতা পাব। প্রত্যাশার বিষয়টা এক, আর আসলে দায়িত্ব পালন করার বিষয়টা এক।’
রিজওয়ানা বলেন, ‘এই যে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে বড় দাগে আমাদের তিনটা দায়িত্ব পালন করার জন্য। এ প্রতিবন্ধকতাগুলোকে আমরা কীভাবে মোকাবিলা করবো, আদৌ মোকাবিলা করতে পারবো কি না, যদি করতে পারি কীভাবে মোকাবিলা করবো, যদি মোকাবিলা না করতে পারি তাহলে আমাদের কী করণীয় হবে, আমরা সকলে মিলে এটা চিন্তা করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যদি কিছু বলে থাকেন, আমরা প্রথমেই বলেছি তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে একটা সময় দিয়েছেন। তার এক দিনও এদিক ওদিক হওয়ার সুযোগ আমাদের পক্ষে নেই। এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলার সুযোগ তৈরি হওয়া উচিত ছিল না। কারণ বারবারই বলা হচ্ছে একটা সময়সীমা দিয়ে দেয়া হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি না, আমাদের বিবেকে ওইটাই একমাত্র চাপ। চাপ হচ্ছে আমাদের নিজেদের পারফরম্যান্সের চাপ। জনগণকে মেসেজ দিতে চাই, আমরা যদি দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলে দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারি তাহলে প্রাসঙ্গিক থাকলো না।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। সংস্কার কমিশনগুলো প্রতিবেদন দিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐকমত্য গঠনের কাজ চলছে। আমরা নির্বাচনের একটা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি। আরেকটা পারা হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল দুটো হয়েছে। কিন্তু এগুলো স্মুথ যেতে হবে। এসব কাজে যেন প্রতিবন্ধকতা না আসে শুরু থেকে আমাদের একটা আহ্বান ছিল।’