সকাল থেকেই সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবন থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে একত্রে জড়ো হতে থাকেন সচিবালয়ে কর্মরত ও কর্মচারীর। হাতে প্ল্যাকার্ড আর কণ্ঠে সরকারি চাকরি আইন ২০২৫ বাতিলের দাবি।
প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া অনুমোদন দেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারিরা। আন্দোলনের মধ্যেই গতকাল (রোববার, ২৫ মে) রাতে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, আইনটি সংশোধনে নেয়া হয়নি তাদের মতামত। এই আইনের কারণে তাদের মধ্যে ছড়িয়েছে পরেছে আতঙ্ক ও ভীতি। বাস্তবায়ন হলে বৈষম্যের শিকার হবেন বলেও দাবি তাদের। আহবান জানান সারাদেশের সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে অংশ নিতে।
এরপর দুপুরে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন বিক্ষোভকারীরা।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবির বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা আজ দ্বিতীয়বারের মতো তাদের সঙ্গে বসবো হয়তো। যদি আজকের মধ্যে এই আইন প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আমরা আরো শক্তিশালী কর্মসূচি দেবো।’
বিক্ষোভের প্রভাব পরে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে সচিবালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে। বন্ধ করে দেওয়া হয় সচিবালয়ের প্রধান ফটকও।