শফিকুল আলম বলেন, ‘এবারের নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে। নির্বাচন হবে শতভাগ শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ।’
প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা ধরে চলা ওই মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় তিনি খুলনার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান।
খুলনাতে আবারও শিল্পাঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলা, মংলা বন্দরের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক জোন তৈরির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রেস সচিব।
খুলনা অঞ্চলের উপকূলের বেড়িবাঁধ রক্ষা এবং ভবদহ নিয়েও সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও গাবুরায় স্থাপনকৃত সুপেয় পানির প্রজেক্ট বাড়িয়ে সকল উপকূলীয় এলাকায় চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যও একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা অঞ্চলে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ না থাকা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘গ্যাস ছাড়াও অনেক কারখানা পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে খুলনায় জুতা এবং ব্যাটারি সেক্টর অনেক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সুতরাং গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে দক্ষ শ্রমিক দিয়ে কিভাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা যায় সরকার সেদিকে জোর দিচ্ছে।’
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভিসি নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
খুলনাসহ দেশের সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা ক্রাইম করবে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স রয়েছে।’