প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর চিঠি কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে না: দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) | ছবি: সংগৃহীত
1

‘ফাইভজি রেডিনেস’ প্রকল্পে দুদকের অনুসন্ধানের মাঝে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের চিঠি সংস্থাটির কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে না বলে জানিয়েছে দুদক। অন্যদিকে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব দাবি করেন, এই প্রকল্প চালিয়ে না গেলে সরকারের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতেই দুদককে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির (বিটিসিএল) আলোচিত ‘ফাইভজি রেডিনেস’ প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে সুপারিশ করা হয় অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে।

প্রায় ৩২৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এ প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। এরপরই গত জুন মাসে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

তদন্তের মাঝেই প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব ডিও লেটার দিয়ে দুদককে জানান, প্রকল্পটি চালিয়ে নেয়া গেলে বিটিসিএলের পিছিয়ে পড়া রোধ, উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের হার নিশ্চিত করা সম্ভব।

তাই এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের মনোযোগ ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সম্প্রতি বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সমালোচনা শুরু হয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ এই সহকারীর বিরুদ্ধে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। দাবি করেন, এই প্রকল্প চালিয়ে না নেয়া গেলে সরকারের ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘প্রতিটি স্তরে দেশিয়দের স্বার্থ রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মালিকানার একটি ক্যাপিং তৈরি করে দিয়েছি। যারা নতুন বিনিয়োগকারীদের টেলিকম লাইসেন্স ব্যবস্থায় আসতে দিতে চায় না এবং একই সঙ্গে যারা বর্তমানে সিন্ডিকেট করে রেখেছে আমরা তাদেরকে নতুন লাইসেন্স ব্যবস্থায় বিবেচনা করছি না।’

এই চিঠি তদন্ত কাজে বাধা হবে কি না, প্রশ্নের জবাবে দুদকের উপ-পরিচালক জানান, সংস্থাটির কার্যক্রম নিজস্ব গতিতে চলবে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘এই চিঠির প্রেক্ষিতে দুদক কোনোরকম চাপ অনুভব করছে না এবং চলমান তদন্ত স্বাভাবিক গতিতে চলমান থাকবে।’

এসএইচ