আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) বিকেলে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট চালু হচ্ছে। এজন্য আলাদা রেজিস্ট্রেশন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কোনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা আপাতত নেই। সব নির্বাচনই হবে ব্যালট পেপারে।’
সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, শিগগিরই আসন পুনর্নির্ধারণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আসনপ্রতি ৪ লাখ ১৮ হাজার থেকে ৪ লাখ ২২ হাজার ভোটার বিবেচনায় সীমানা নির্ধারণ করা হবে। ঢাকা শহরে আসন সংখ্যা কমার সম্ভাবনা কম বলেও জানান তিনি।
দল নিবন্ধনের বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, ‘যেসব দলের কাগজপত্র যথাযথ রয়েছে, সেগুলোর মাঠ পর্যায়ের যাচাই শুরু হবে। বাকিদের ১৫ দিনের মধ্যে ঘাটতি পূরণের সুযোগ দেয়া হবে।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়েও কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার বাইরে যেকোনো সময় ভোটার তালিকা সংশোধন, পরিমার্জন বা হালনাগাদ করতে পারে কমিশন। সে অনুযায়ী কাজ চলমান রয়েছে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইসির সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে সব বিষয়েই দুটি কমিশনের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা অনেক বিষয়ে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছি।’
শাপলা প্রতীক সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নাগরিক ঐক্য ও এনসিপি উভয় দল প্রতীকটির জন্য আবেদন করলেও তা তালিকাভুক্ত করা হয়নি। আবেদন পর্যালোচনার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’