সন্ধ্যা ৭ টায় গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা এসে পৌঁছায় জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়ির বহরটি। খুলনা সার্কিট হাউজ ও স্থানীয় কিছু হোটেলে অবস্থান নেন নাহিদ, হাসনাত ও সার্জিসরা। গোপালগঞ্জ থেকে সভা শেষে ফেরার পথে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন এনসিপি নেতাকর্মীরা। পরে মাদারীপুরের কর্মসূচি স্থগিত করে সেনাবাহিনীর সহায়তায় খুলনায় চলে আসেন তারা।
বুধবার এনসিপির গাড়ি বহরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। রাত সাড়ে নয়টার পর খুলনা প্রেসক্লাবে হাজির হন নাহিদ, হাসনাত, সার্জিসসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ সভা করতে পারবে না এ প্রথা ভেঙে দিয়েছে এনসিপি। যতই হামলা হোক চলবে জুলাই পদযাত্রা।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আবারো নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র দেখল দেশবাসী। মুজিবুরের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ হয়নি এখনো। এজন্য সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে, বাড়াতে হবে জনসচেতনতা।’
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে জানিয়েছেন দলটির এ শীর্ষ নেতা।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা বুধবার রাতে অবস্থান করবে খুলনায়। আগামীকাল সকালে আবারো জুলাই পদযাত্রার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্যও ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে জানা গেছে।