জানাজার আগে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। এসময় উপস্থিত সকলের মধ্যে বিষাদের চিহ্ন দেখা যায়।
জানাজায় উপস্থিত বিমানবাহিনীর প্রধান বলেন, ‘বিমান বিধ্বস্তে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য যা যা করা দরকার, সব করা হবে। তদন্ত কমিটি খুঁজে বের করবে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যদি আমাদের ভুল থাকে, আমরা ভবিষ্যতে সংশোধন করবো।’
তিনি বলেন, ‘অনেক গুজব চলছে, গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ রইলো। মৃত্যুের সংখ্যা লুকানোর কিছু নাই, সবাই আমাদের দেশের মানুষ।’
বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে কোনো কমতি নেই উল্লেখ করে বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, ‘আমাদের বিমানগুলোর লাইফ টাইম ৩০ বছর। প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের বিমানগুলো পুরনো হলেও, লাইফ টাইম শেষ হয়নি।’
এছাড়া ঘনবসতির সঙ্গে এ দুর্ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় প্রশিক্ষণের জায়গা বের করা খুবই কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাইলট সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো বিমানটিকে একটি খালি জায়গায় নামানোর জন্য এবং তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার তথ্য এসেছে বলেও জানান তিনি। পাইলট তৌকিরের মামা মোহাম্মদ আলী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ রাজশাহীর উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।