সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সফরে আসবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। সফরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রমিক নিয়োগে সংস্কার ও স্বচ্ছতা এবং বৈধকরণ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ যখন আসিয়ানের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এ সফর কূটনৈতিক দিক দিয়েও বেশ গুরুত্ব বহন করছে।
১০ বছর পর নিজ দেশের সরকারপ্রধানের এ সফর ঘিরে আশার আলো দেখছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী। অবৈধদের বৈধতা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করার দাবি তাদের। এছাড়াও পাসপোর্ট নবায়নে জটিলতা দূর করার পাশাপাশি ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
প্রবাসীরা জানান, অবৈধ প্রবাসীদের বৈধকরণ করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। তাদের দাবি, পাসপোর্ট রিনিউ করার মতো জটিল প্রসেসকে যেন সহজ করা হয়।
এদিকে দেশটিতে বসবাসরত ব্যবসায়ী বাংলাদেশিরা বলছেন, এটি কেবল দুই রাষ্ট্র প্রধানের বৈঠক হতে যাচ্ছে না, দুই বন্ধুরও বৈঠক হবে। তাই অনেক কিছু অর্জনের সুযোগ আছে বাংলাদেশের। কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় আউটসোর্সিং পদ্ধতি পুনরায় চালু করা ও কর্মী নিয়োগ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার বিষয়ে আলোচনার পরামর্শ তাদের। এছাড়াও দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও মর্যাদা বাড়াতে আসিয়ানভুক্ত হওয়ার জোর আহবান তাদের।
আরও পড়ুন:
মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী ড. এস এম রহমান তনু বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছে আসিয়ানের সদস্য হওয়ার জন্য। আমরা মনে করি এ সফরের মাধ্যমে আসিয়ানের সদস্য হওয়ার দিকটা সহজ হবে। একজন প্রবাসী চলে গেলেও বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার রিঙ্গিত মাইনাস হয়ে যাবে। সুতরাং এদের যেন বৈধ করা যায় এ ব্যাপারে আশা করছি ভালো ফল পাওয়া যাবে।’
মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. রমজান আলী বলেন, ‘অনেক লোক অবৈধ আছে। তাদের প্রথমে বৈধতা দেয়ার আলোচনা হবে আশা করি আমরা।’
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অর্থ পাচার ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথেও বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা। গুরুত্বপূর্ণ এ সফর প্রবাসী ও দেশের জন্য কতটা সুফল আনবে, সেদিকেই দৃষ্টি সবার।