সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে প্রথমে এক লাইনের এই পোস্টটি দেন। এর কিছুক্ষণ পর আবার সেই পোস্টটি এডিট করে আরও একটি লাইন যুক্ত করেন। সেখানে তিনি লেখেন- ‘১/১১ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে! তবে, জুলাই জয়ী হবে। জনগণের লড়াই পরাজিত হবে না।’
এই পোস্টে কমেন্টবক্সে উপদেষ্টা মাহফুজ তার পোস্টের ব্যাখ্যা করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘১/১১ এর পদধ্বনির কথা কেন বলছি। জুলাইয়ের শক্তিগুলোর ঐক্য নাই এবং এ ঐক্য ধরে না রাখার ক্ষেত্রে আমাদের যতটা দায়, তারচেয়ে বেশি পুরাতন ১/১১ শক্তিগুলোর অন্তর্ঘাতক কর্মকাণ্ড দায়ী।
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের শক্তিগুলোর আত্মতুষ্টির সুযোগে পুরাতন ১/১১ পন্থীদের বিভাজন এবং অন্তর্ঘাতের সুযোগ বৃদ্ধি। আওয়ামী লীগকে স্বাভাবিকীকরণ এবং জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ভিলিফিকেশন মূলধারা হয়ে উঠছে। পুরাতন অর্থনৈতিক এবং কালচারাল বন্দোবস্ত ফিরিয়ে আনার তোড়জোড়, যার পথ ধরে লীগকে ফিরিয়ে আনার পথ প্রশস্ত হবে।’
আরও পড়ুন:
তিনি লেখেন, ‘ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দলগুলো নিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি এবং বিরাজনীতিকরণের পুরাতন প্রচেষ্টা। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যর্থ দেখিয়ে জনগণের মধ্যে হতাশা তৈরি এবং হতাশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্যাভিওর ক্রাইসিস তৈরির প্রচেষ্টা। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে অন্য দশটা ইভেন্টের মত বানিয়ে জনগণ বিশেষ করে ছাত্রদের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরির প্রচেষ্টা।’
মাহফুজ বলেন, ‘জুলাইয়ের পক্ষের শক্তিকে ধীরে ধীরে অরাজকতাকারী অযোগ্য, ব্যর্থ হিসাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে জুলাইয়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়া। নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি, যেখানে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উল্লেখযোগ্য টানাপড়েন নেই।’
তথ্য উপদেষ্টা লিখেছেন, রাজনৈতিকতার অবসান, বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে হতাশা তৈরি এবং স্যাভিওর ক্রাইসিস তৈরি- সবই ১/১১ এর পুনরাবৃত্তির প্রচেষ্টা হিসাবে উল্লেখ্য।