জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রামাণ্যচিত্র, সংগীত আর স্মৃতিচারণে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা | ছবি: সংগৃহীত
0

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ উপলক্ষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ জড়ো হন রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। জুলাই শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় অনুষ্ঠানের শুরুতেই। জুলাইয়ে আহত ও শহিদদের গল্প তুলে ধরা হয় প্রামাণ্যচিত্র, গান ও কবিতায়। এদিন, মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় মঞ্চ মাতান জনপ্রিয় শিল্পীরা। শহিদ স্বজনদের চাওয়া, জুলাই চেতনায় পূর্ণতা পাক নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা।

জুলাই বিপ্লবী বন্ধুর প্রতিবাদের ভাষা। জুলাই, তারুণ্যের সাহস আর নতুন বাংলাদেশের প্রত্যয়। তাই তো এক বছর পর আবারও বুকের ভেতর আনাসের লেখা চিঠি আর রাস্তায় পড়ে থাকা ইয়ামিনের মরদেহ যেন শক্তি হয়ে উঠেছে মানুষের। গান, কবিতা আর স্লোগানে আরও একবার জুলাইয়ে ফিরে গেছে ছাত্রজনতা।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস, ‘৩৬ জুলাই’ উদযাপন ও জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ উপলক্ষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ জড়ো হন রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।

শহিদ পরিবারের আহাজারি যেন এখনো থামেনি, বন্ধ হয়নি অশ্রুপাত। শহিদ স্বজনদের তাই একটাই চাওয়া, পূর্ণতা পাক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন।

কষ্ট মারিয়ে আজ সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। যেদিন গণহত্যা চালিয়ে রক্তাক্ত দেশ ফেলে পালিয়েছিল স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আনন্দও যেন কম নয়। বিজয়ের গান আর ছন্দে উচ্ছ্বাস সবার চোখেমুখে।

সকাল থেকে সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে রাখে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, কলরব শিল্পীগোষ্ঠী, চিটাগাং হিপহপ হুডসহ আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক দল। দুপুরে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সময়ের সঙ্গে মিল রেখে হেলিকপ্টার বেলুন উড়িয়ে উদযাপন করা হয় ফ্যাসিস্টের পলায়নক্ষণ।

আরও পড়ুন:

এরপর একে একে সংগীত পরিবেশন করেন সায়ান, সোলস, ওয়ারফেজ। পরে সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস।

জুলাইয়ের বিপ্লবী গান, আর্টসেলে মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনার পর সংসদ ভবনের উত্তরের আকাশে দেখা মেলে একটি হাত যেখানে লিখা ‘Do You Miss Me?’ এর পর ভেসে আশে শেখ হাসিনার দৈত্যাকার মুখাবয়ব। একের পর এক উঠে আসে স্বৈরাচার সরকারের নানা গল্প। দেখা যায় বিএনপি নেতা ইকরামুল হককে। যিনি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ।

ড্রোন শোতে ওঠে আসে আবরার ফাহাদের গল্প। সালমান এফ রহমান ও ব্যাংক লুটের কথা। ‘আগে খুনি হাসিনার ভয়ে মানুষ পোস্ট ডিলিট করত, এখন জনগণের ভয়ে সরকার পোস্ট ডিলিট করছে’ এমন লেখাও উঠে ড্রোন শোতে। স্পেশাল ড্রোন ড্রামা ‘Do You Miss Me? Written By The Anonymous’ এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৩৬ জুলাইয়ের বর্ণিল আয়োজন।

ইএ