ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘এই ইস্যুতে প্রধান সমস্যা হলো আদালতের স্টে অর্ডার।’ তিনি উল্লেখ করেন, মহিউদ্দিন খান আলমগীরও এই ঋণখেলাপি ইস্যু নিয়ে পাঁচ বছর সময় নেন।
আগামী নির্বাচনে কালোটাকা ব্যবহার রোধে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কালোটাকা নিয়ন্ত্রণে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ; টাকার উৎস ও প্রক্রিয়া। টাকার উৎস আগের তুলনায় অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। আগে ব্যাংক, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সংবাদপত্র ও ফ্ল্যাটের মালিক একজায়গায় থাকতেন, এখন তা নেই। মোটামুটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ব্যবস্থা চালু হয়েছে।’
ড. সালেহ উদ্দিন আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। রাজনীতিবিদরা যদি টাকার বিনিময়ে নমিনেশন বা ভোট কেনার মতো কাজে উৎসাহ দেন, তাহলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কিছুই করতে পারব না।’
আরও পড়ুন
তিনি নিশ্চিত করেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহায়তা করছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা দলের কেউ বললেই নির্বাচন বন্ধ হবে না। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘স্কিমে চাকরিজীবী, শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন না। এটি কেন হচ্ছে এবং মানুষের অনীহা কোথায় সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।’
তিনি সরকারের লক্ষ্য সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, ‘অর্থনীতিকে সুসংহত ও পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরে এনবিআর দুই বিভাগ ভিন্ন নামে কাজ শুরু করবে।’