এ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং আইনের শাসন সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত এক বছরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন।
এ সময় মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন প্রধান বিচারপতি হিসেবে ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের এক বছর পূর্তিতে তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধান বিচারপতির নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন:
এ সময় তিনি একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান, মামলায় বিবাদী পক্ষকে লিগ্যাল এইড প্রদানে ক্যাপাসিটি টেস্ট চালু করাকে কার্যকরী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
এ ছাড়াও সুপ্রীম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ আইন প্রণয়ন, বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রীম কোর্ট হেল্পলাইন চালু এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন তিনি।
আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তার দেশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।