আজ (শুক্রবার, ৭ নভেম্বর) সকালে বাহিনীর গণসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে দায়িত্ব পালনকালে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম ব্যক্তিগত স্বার্থে অনৈতিকভাবে পোড়া ভবনের ভেতর থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এসময় ঘটনাস্থলেই তাকে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আনসার বাহিনীর বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চা কমে এলেও তা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রের সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় স্বল্প বেতনে দায়িত্ব পালন করা সদস্যদের মানসিক প্রেষণা বজায় রাখতে বাহিনী প্রধান এরইমধ্যে পে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকাগুলোতে আনসার সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে সততা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কোনো সদস্যের ব্যক্তিগত অনিয়ম বা শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বাহিনীর সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হোক—তা কখনোই কাম্য নয়।
বাহিনী আশাবাদী যে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং কল্যাণধর্মী উদ্যোগের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে এবং জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।





