আজ (বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বাসসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গণসংযোগ কর্মকর্তা জানান, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রধান বিচারপতিকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিবেন।
দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ১০ আগস্ট নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ও প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এমএ এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। তিনি ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে, ১৯৮৬ সালে হাইকোর্টে এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
আরও পড়ুন:
২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে নিয়োগ পান এবং ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ বিশ্বের বহু দেশে ভ্রমণ করেছেন।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর বিচার বিভাগ ও বিচারপ্রার্থীদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। গতবছরের ২১ সেপ্টেম্বর সারাদেশের বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি অভিভাষণ দেন।
সেই অভিভাষণে তিনি বিচার বিভাগের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। যার মধ্যে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করে স্বাধীন সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, বিচারক নিয়োগে আলাদা আইন প্রণয়নসহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে। এরইমধ্যে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা ও এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা জানান, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠাসহ নানা উদ্যোগের কারণে ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রধান বিচারপতি হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।





