খালেদা জিয়াকে বরণে প্রস্তুত ফিরোজা, রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা

ফিরোজার সামনে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা
ফিরোজার সামনে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা | ছবি: সংগৃহীত
0

ঢাকার বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ পৌঁছবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ (মঙ্গলবার, ৬ মে) সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, সেনাবাহিনীও মোতায়েন আছে। সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীও বেশ তৎপর রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে পথে পথে নেত্রীর অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার দুই পাশের ফুটপাতে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত জনসমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ট্রাফিক পুলিশেরও ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।

এদিকে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা রাজনীতিতে ভিন্ন মাত্রা তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। আজ বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে আসা বিএনপি নেতারা বলছেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিকভাবে হয়রানিসহ চিকিৎসা নিতে না দেয়ার মত মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর লন্ডন থেকে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে বেগম জিয়া দেশে ফেরায় তাই উচ্ছ্বসিত নেতারা।

বেগম খালেদা জিয়ার যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও জনদুর্ভোগ এড়াতে রাস্তায় দুপাশের ফুটপাতে দাঁড়ানো নির্দেশনাও দেয় দলটির নেতারা।

এ ছাড়া, বাংলাদেশ নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রের যে আলোচনা রাজনীতিতে বিদ্যমান; বেগম জিয়ার দেশে ফেরায় তা নস্যাৎ হবে বলে মনে করছেন তারা।

পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে আলাদা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় বিএনপি নেতাদের মধ্যে।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার যুক্তরাজ্য গমনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডন যান এবং একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরছেন। তার সঙ্গে আছেন দুই পুত্রবধূ শামেলা রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানসহ ১৫ জন।

সেজু