রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খলিলুর রহমান একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে অস্থির করার চেষ্টা চলছে। মানবিক করিডর নিয়ে সরকারের একেকজনের একেক মন্তব্য প্রমাণ করে, সরকার পথ হারিয়ে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ড. খলিল তার নিজের পক্ষে ওঠা প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পলাতক স্বৈরাচারের মতো তারেক রহমানের বিপক্ষে প্রোপাগান্ডার পথ বেছে নিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না। ফ্যাসিবাদের দেড় দশক ড. খলিল কোথায় ছিলেন? কিভাবে ছিলেন? কোন দেশে ছিলেন? বিদেশে তার স্ট্যাটাস কী ছিল? ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে তার ভূমিকা কী ছিল? অবশ্যই এসকল প্রশ্নের জবাব জনগণকে জানাতে হবে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, রাষ্ট্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ নেই। ড. খলিলকে অবিলম্বে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশে-বিদেশে তার অবস্থান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেশের জনগণের সামনে হাজির করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপির সঙ্গে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া লাগাতে চায়।’
এসময় দক্ষিণ সিটির মেয়রের শপথ নেওয়া নিয়ে আদালতের রায়ে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।