‘কারো কারো নির্বাচন হলেই বিপদ, তাই লন্ডন বৈঠক পছন্দ করছেন না’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: এখন টিভি
0

কারও কারও নির্বাচন হলেই বিপদ তাই লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক পছন্দ করছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকারের সাথে দূরত্ব কমার ঘটনাকে বিরল ও ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে চাঁদাবাজি না করতে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন তিনি। আর গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা জানায় অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে সুবিধাজনক অবস্থায় বিএনপি। কিন্তু এরপরও নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে দলটির সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে সরকারের। অবশেষে বরফ গলে লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে।

কিন্তু এই বৈঠক এবং যৌথ ব্রিফিংকে সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণ বলে অভিযোগ জানায় জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদের মতো রাজনৈতিক সংগঠন। আজ (বুধবার, ১৮ জুন) ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব তাদের উদ্দেশে জানান, কারও কারও নির্বাচন হলেই বিপদ। তাই লন্ডন বৈঠক তারা পছন্দ করছে না। নির্বাচনে গুরুত্ব কমে যাবে বলে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে হাজির হয়নি কেউ কেউ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকের পছন্দ হয়নি কারণ নির্বাচন হলেই তাদের বিপদ। এখন নির্বাচন নাই সুতরাং তাদের অনেক গুরুত্ব আছে। যখন নির্বাচন হয়ে যাবে তখন জনগণের যারা ভালোবাসার দল তারাই তো ক্ষমতায় আসবে তাই না। তখন তাদের গুরুত্ব কতটুকু থাকবে বা থাকবে না। যে কারণে ওরা নারাজ হয়েছে। নারাজ হয়ে গতকালের বৈঠকে হাজিরও হয়নি।’

এসময় তিনি আরও জানান, যারা আওয়ামী লীগ হয়ে জনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদের দলে নেয়া হবে না। তবে ভালোদের বাদ না দেয়ার কথাও জানান তিনি। চাঁদাবাজি করে বিএনপি যেন আওয়ামী লীগ না হয়ে যায় সেদিকে নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য রাখার আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি ব্যবসা নিয়ে নিবেন, ওর বাড়ি নিয়ে নিবেন, উনি কি আপনাকে ভোট দেবে? দেবে না। ওই জায়গায় তার সঙ্গে আপনাকে ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। তাকে ভালোবেসে তার কাছ থেকে ভোটটা নিতে হবে।’

এদিকে সকালে নরসিংদী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিগত ১৫ থেকে ১৬ বছর শেখ হাসিনা অনেক চেষ্টা করেছেন, অনেক প্রলোভন দেখিয়ে যখন কাজ হয়নি তখন নির্যাতনের পথ দিয়ে তিনি টাকে ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রতিটি চক্রান্ত ব্যর্থ হয়ে গেছে। মরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার গঠিত হবে সেক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার যে অঙ্গীকার, তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় যে কথাগুলো বলে এসেছেন আমার মনে হয় সেটিরই প্রতিফলন ঘটবে, বাস্তবায়ন হবে।’

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রচেষ্টা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।

এসএস