তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার আত্মা আবার নতুন চেতনায় ভর করেছে। এটার জন্য তো ছেলেরা জীবন দেয়নি। এরকম গণতন্ত্র তো আমরা চাইনি। আমরা সেরকম গণতন্ত্র চেয়েছি, যেখানে এদেশের প্রকৃত ভোটাররা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা যেখানে যাই, শুনি একটি সংগঠনের লোক বসে আছে। ডিসি কে? বলছে, এটা একটা বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোক। তারা ডিসির দায়িত্ব পালন করছে না, একটি বিশেষ সংগঠনের কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আবার নতুন করে নতুন চেতনা আমরা দেখছি ধর্মের নামে যে, দলের রুকন না হলে সে চাকরি করতে পারবে না। এখনো তো নির্বাচন হয়নি, কে ক্ষমতায় যাবে, জনগণ কাকে ভোট দেবে তা নির্দিষ্ট হয়নি, তাহলে এ কথাগুলো কেন আসছে ভাই?’
রিজভী বলেন, ‘অনেক সরকারি দপ্তর থেকে অনেকে আসছেন যে, ভাই আমরা কী করবো? আমরা যদি ওই দলের সদস্য না হই, রুকন না হয়, আমরা তো চাকরি করতে পারবো না।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে এক চেতনাধারী বিদায় নিয়ে আরেক চেতনাধারী ক্ষমতার মধ্যে বসবে, বড় বড় ইউনিভার্সিটিগুলোতে সেই চেতনাধারীরা। তাদের লোক হতে হবে, তাদের লোক ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারবে না, কোনো চাকরি হবে না। আবার সেই একমাত্রিক একটা দেশ গড়ার প্রচেষ্টা চলছে, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মিন খান বলেন, ‘দেশে এখনও প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’ তার দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি বিএনপি রক্ষা করবে।
মিন খান বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের নির্বাচন ছিল দেশের জন্য ধ্বংসাত্মক অভিজ্ঞতা।’ এ অনুষ্ঠানে শহিদ ও আহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন দলের নেতারা।