এর আগে বিএনপির বিভিন্ন নেতা ও মাসুদুজ্জামানের কর্মী সমর্থকরা সেখানে মিছিল সহকারে যোগ দেন। আগে থেকেই কারখানাতে উপস্থিত ছিলেন মাসুদুজ্জামান।
এসময় তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ ঘোষণায় আমার জাতীয়তাবাদী দল, আমার প্রাণের নেতাকর্মীবৃন্দ এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দরা আঘাতপ্রাপ্ত হন। আমি তাদের সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এবং দলের চেয়ে দেশ বড়। আমি পুনরায় ব্যক্ত করতে চাই, যে ভালোবাসা আমি আপনাদের কাছে পেয়েছি, আপনাদের কাছেও আমি ক্ষমা প্রার্থী। ইনশাল্লাহ আমি এ মঞ্চ থেকে ঘোষণা দিচ্ছি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটিতে আমি একমত পোষণ করবো। আমি জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন পেয়েছি। নির্বাচন করবো ইনশাল্লাহ।’
নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর মাসুদুজ্জামান বিএনপির নেতাকর্মী ও তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন থেকে আপনারাই আমার পরিবার। আপনারাই আমাকে দেখে রাখবেন। নিরাপত্তার আর কোনো শঙ্কা আজ থেকে রইলো না। জীবন বাজী রেখে কাজ করবো।’
গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ছিলেন মাসুদুজ্জামান। তখন থেকে তিনি এলাকায় গণসংযোগ, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা উল্লেখ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।





