আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ফোনেই কথা বলছেন আসামি!

আসামিদের অবৈধ সুবিধা দিচ্ছে পুলিশ
আসামিদের অবৈধ সুবিধা দিচ্ছে পুলিশ | ছবি: এখন টিভি
0

খোদ পুলিশের ফোনেই কথা বলছেন আসামি। তাও আবার আদালত প্রাঙ্গণেই। জুলাই অভ্যুত্থানের আট মাস পেরোলেও এখনো বেপরোয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য। কারাগার বা থানা থেকে এজলাসে নিয়ে আসার পথেই আসামিরা পাচ্ছেন নানা অবৈধ সুযোগ।

ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ মঞ্চ বিচারালয়। এই মঞ্চে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, এখানে হয় সত্য-মিথ্যার ফয়সালা। কিন্তু ন্যায়বিচারের সেই মঞ্চে হাজিরাকালে অভিযুক্তদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে একটি চক্র।

অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, আইনের তোয়াক্কা না করেই আসামির হাতে মোবাইল তুলে দিয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। আর সেখানেই শেষ নয়, ফোনালাপের পুরোটা সময় তাকে পাহারা দেন এই আইনের রক্ষকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনজীবী বলেন, ‘আদালতে হাজিরার সময়, মোবাইল ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ।’

পুলিশের সহায়তায় এমন ঘটনাকে শুধু বেআইনিই বললেন না তিনি, তার মতে এটা বিচারব্যবস্থাকে অপমান করা।

পরিচয় গোপন করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ নিয়মিতভাবে আসামিদের এই সুযোগ করে দেন।’

জানা যায়, প্রতিটি ফোনালাপের পেছনে থাকে নির্দিষ্ট আর্থিক লেনদেন, যার পরিমাণ নির্ভর করে অপরাধীর পরিচিতি ও মামলার গুরুত্বের ওপর।

আদালতে হাজিরার সময় বা গারদে আসামির মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন সিএমএম আদালতের প্রশাসনিক প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার তারেক জুবায়ের।

আদালতে আসামি আনা নেওয়ার কাজ করেন মূলত গারদের পুলিশ সদস্যরা, এছাড়াও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করেন।

তাদের মধ্যে কেউ ফোনে কথা বলানোর সঙ্গে জড়িত হলে ছাড় না দেয়ার তাগিদ দিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর। তবে এমন ঘটনা হরহামেশাই বলে দাবি করেন অনেক আইনজীবী।

এসএইচ