রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ওয়াসিস হলে আয়োজন করা হয় সিটিগ্রুপ প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রীড়াবিদরা। নজর ছিল এবারের বর্ষসেরা কারা হন তা নিয়েই।
এবছর বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি যায় দাবাড়ু মনন রেজার হাতে। চারজন গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ এই গ্র্যান্ডমাস্টার। এর আগে পুরস্কার পর্ব শুরু হয় আজীবন সম্মাননা দিয়ে। সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪ এর আজীবন সম্মাননা পান কিংবদন্তি স্প্রিন্টার মোশাররফ হোসেন শামিম।
বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদের পুরস্কারটি পান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার তহুরা খাতুন। নেপাল লিগ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েই বাংলাদেশে এসেছেন তহুরা। আর এসেই এমন একটা উপলক্ষ। স্বভাবতই উৎফুল্ল ছিলেন জাতীয় দলের এই তারকা ফুটবলার।
এবছর বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের রানার আপ পুরস্কারটি পেয়েছেন দুজন। দুজনই ক্রিকেটের। পুরস্কার নিতে মেহেদি হাসান মিরাজের পর মঞ্চে ওঠেন তাসকিন আহমেদ। পুরস্কার পেয়ে নিজেদের অভিমত জানিয়েছেন তারা
মিরাজ বলেন, ‘পাকিস্তানের মাটিতে দুই টেস্টে এবং আমার কাছে মনে হয় ওই পরফরম্যান্সটা আমার জীবনের সেরা পরফরম্যান্স।’
তাসকিন বলেন, ‘আমি সবসময়ই খেলতে পছন্দ করি।’
এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে ঘোষণা করা ঋতুপর্ণার নাম। মঞ্চে আসেন বাংলার ঋতু। যার কাজ সবুজ গালিচায় গোল করে উদযাপন করা। তবে এত বড় পুরস্কার পাওয়ার তেমন কোনো উদযাপনে মাতলেন না ঋতু।
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। কখনও ভাবিনি যে আমি বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হবো। এটা আমার জন্য একটা বড় অর্জন।’
এরপরের পুরস্কারটি নির্বাচন হয়েছে পাঠকদের ভোটের মাধ্যমে। আর এ ক্যাটাগরিতেও ক্রীড়াপ্রেমীরা মনোনীত করেন পাহাড়ি কন্যা ঋতুপর্ণাকেই। আমন্ত্রণ পেয়ে নেপাল থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন ঋতু। ছোট হাতে দুইটি পুরস্কার নিয়ে দ্বিগুণ খুশিতেই মঞ্চ ছেড়েছেন তিনি।