ঘাম, পরিশ্রম আর স্বপ্নে ভর করে আবারও ইতিহাস লিখলো বাংলাদেশের মেয়েরা। সিনিয়রদের পথ ধরে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলও পৌঁছে গেল এশিয়ার সেরা মঞ্চে। বুকভরা গর্ব নিয়েই বাছাই পেরিয়েছে লাল-সবুজের কন্যারা। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারের আক্ষেপ থাকলেও, বাছাইপর্বে দারুণ লড়াই করে রানার্স-আপ হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল।
এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ দেশের নারী ফুটবলে যোগ করল নতুন অধ্যায়। বাফুফের নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা নিজেদের ভাগ্যবান বলবো এজন্য যে আমরা একই বছরে দুটোই পেয়েছি। প্রথমে সিনিয়র এরপর এইজ লেভেল। এতে এটা প্রমাণ হয় আমাদের পাইপ লাইন অনেক স্ট্রং।’
এর আগে নারী সিনিয়র দলও একই মিশন সফল করেছে। এবার জুনিয়রদের সাফল্যে দ্বিগুণ হয়েছে আনন্দ। সাফল্যের এ ধারা বজায় রাখতে শুরু হয়েছে বড় পরিকল্পনা।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমি আবার মেইল করেছি জাপানকে আমরা সিনিয়র জুনিয়র দুটোই একইসাথে করতে চাচ্ছি। আশা করি সেটাও হয়ে যাবে জাপানে। এখন আমাকে অনূর্ধ্ব-২০ দলের জন্য প্র্যাকটিস ম্যাচ রেডি করতে হবে। আমাদের অ্যাকোমোডেশনও একই করতে হচ্ছে সিনিয়র জুনিয়রদের জন্য।’
আরও পড়ুন:
বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন বাজেট। আর তা খুঁজতে আর্জি কিরণের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু একই বছরে আমাদের দুটো আর্থিক সাহায্যের দরকার হবে এজন্য এরইমধ্যে আমি তাবিথ আওয়ালের সঙ্গে কথে বলেছি। আমাদের স্ট্রেন্থ লেভেল এখনো ওইভাবে নেই।’
জাপানে যৌথ ক্যাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, এশিয়ান কাপে মাঠে নামার আগে সিনিয়র-জুনিয়ররা পাবে আন্তর্জাতিক মানের প্রস্তুতির সুযোগ যা লাল-সবুজের মেয়েদের জন্য হতে পারে নতুন সাফল্যের সোপান।