শোকাবহ এক দিন! মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ছায়া ফেলেছে পুরো জাতির হৃদয়ে। সেই শোকের ভার নিয়েই গ্যালারিভর্তি দর্শক, তাদের কণ্ঠে জয় দিয়ে গেল দিনের ক্ষতে প্রলেপ দেয়ার আশা
মাঠে দুই দল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ম্যাচ শুরুর আগেই দুর্ঘটনায় কবলীতদের জন্য নীরবতা আর কালো ব্যাজে ফুটিয়ে তোলে শ্রদ্ধা।
এদিন টস ভাগ্য যায়নি লিটন দাসের পক্ষে, একাদশে নাঈম শেখ ও শরিফুল ফিরেছেন তামিম-তাসকিনের বদলে।
একাদশে সুযোগ পাওয়াটা হেলায় হারান নাঈম, নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন দাসও, তাওহিদ হৃদয়ও ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। ইমনও ফিরলেন ব্যক্তিগত ১৪ রানেই, দল তখন ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকছে।
স্বল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন উঁকি দিচ্ছে তখন ব্যাট হাতে ত্রাতা শেখ মেহেদি ও জাকের আলি অনিক। দুজনের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয় টাইগাররা। দুটি করে চার ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৩৩ রান করেই ফেরেন মেহেদি, দলীয় শতরানের আগে বোল্ড হয়েছেন শামিমও।
সাকিব-রিশাদরাও একটি করে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাকিয়ে বিদায় নিলেও একপাশ আগলে রেখে জাকের আলী খেলেছেন দায়িত্বশীল ইনিংস, তুলেছেন ব্যক্তিগত ফিফটি, শেষ বলে আউট হবার আগে হয়েছে ১৩৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ।
মাঝারি সংগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে উড়ন্ত। প্রথম ওভারে সাঈম আইয়ুবের রানআউট দিয়ে শুরু। শরিফুল-সাকিব-মাহেদিরা পাঁচ ওভারেই ফেরান ফখর জামান-হারিস ও দুই নাওয়াজকে।
দলীয় ৫০ এর আগে ফেরেন সালমান আঘা ও খুশদিল শাহও। ম্যাচ জয়ের স্বপ্নে যখন বিভোর তখনই যেন খুঁটি গাড়েন ফাহিম আশরাফ-আব্বাস আফ্রিদির অষ্টম উইকেট জুটি। চার-ছক্কা হাকিয়ে ভীতি ছড়ান গ্যালারি থেকে ড্রেসিংরুমে।
ষোড়শ ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই আফ্রিদির উইকেট উপড়ে ফেলে আবারো উল্লাসে মাতান শরিফুল।
সহজ ম্যাচ আবারো কঠিন করে টাইগাররা যদিও উনিশতম ওভারে ফাহিম আশরাফকে ফিরিয়ে ম্যাচ মুঠোয় আনেন রিশাদ, শেষ ব্যাটারকে ফেরান মুস্তাফিজ।
এমন জয়ের পর বাধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতেন সমর্থকরা। তাদের স্বপ্ন এখন আরো বড়। শোকের দিনেও দর্শকরা ভোলেননি আহত- নিহতদের।