রিয়াজুল করিম নামের এক ক্রিকেটার বলেন, ‘একটা লিগের জন্য, একটা সিজনের জন্য আমরা অনেকদিন অপেক্ষা করি।’
ক্রিকেটার রিয়াজুল করিমের মতো হতাশা দেশের প্রায় ৯০০ ক্রিকেটারের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠের বাইরে বিদ্রোহী ৪৪ ক্লাব। দফায় দফায় বৈঠকের পরও দুই পক্ষের কেউই আসেনি সমঝোতায়। আর তাতে পিষ্ট হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ক্যারিয়ার আর আর্থিক অবস্থা, কিছুই যেন পক্ষে নেই এসব ক্রিকেটারের।
খেলা থেকে দূরে থাকলেও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে কয়েকটি ক্লাব। তবে ক্রিকেটাররা বলছেন, পারিশ্রমিক পাননি তারা।
প্রগতি সেবা সংঘের সভাপতি সাব্বির রহমান রুবেল বলেন, ‘মোস্ট অব দ্যা ক্লাবের কিন্তু আমরা টিমগুলো করে রেখেছি। খেলোয়াড়দের কিন্তু পেমেন্টও আমরা করে রেখেছি। খেলোয়াড়রা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ওইদিকটা আমাদের বিবেচনায় আছে।’
কাকরাইল বয়েজ ক্লাবের খেলোয়াড় মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম বলেন, ‘কিছু কিছু ক্লাব আছে যারা লিগ খেলছে না। কিছু ক্লাব প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক কেউ টোকেন মানি হিসেবে দিয়েছে, কেউ আংশিক দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:
যদিও বিদ্রোহী ক্লাব কর্তার দাবি, ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তার দায় নিতে হবে বোর্ডকেই।
ক্রিকেটার্স ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘তারা যথাসময়ে তৃতীয় বিভাগ এবার খেলেনি দেখেই কিন্তু এবার জটিলতা। এ খেলোয়াড়দের দায়ভার কিন্তু তাদেরই নিতে হবে। জবাবটা তাদের দিতে হবে খেলোয়াড়দের।’
ক্রিকেটারদের স্বার্থের কথা বারবার বললেও সহসাই মাঠে ফেরার ভাবনা নেই বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর। খেলা বন্ধ ছাড়া বিকল্প কোনো প্রতিবাদ ভাবনাও নেই তাদের।
সাব্বির রহমান রুবেল বলেন, ‘উনাদের প্রতিটা প্রক্রিয়াই অবৈধ ছিল। যার কারণে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনকে আমরা অবৈধ বলছি। যার কারণে অবৈধ দেখেই আমরা এখান থেকে সড়ে আসছি। দ্বিতীয়ত, পরবর্তী কার্যক্রমও আমাদের কাছে অবৈধই হবে।’
রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমরা অনেক শর্ত দিয়েছিলাম, কোনোটাই তারা মানেনি, কোনোটাই তারা কর্ণপাত করেনি বিধায় একটা স্টেজে বাধ্য হয়ে আমরা খেলা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
দ্বিপাক্ষিক এ জটিলতার মাঝেই মাঠে গড়িয়েছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট। প্রথম দিনেই অংশ নেয়নি তিনটি দল। বোর্ড আর ক্লাবগুলোর আশ্বাসের বাণীর ভিড়ে কবে জটিলতা কাটবে ক্রিকেটারদের, সেটার সদুত্তর মেলেনি কোনো পক্ষের কাছ থেকেই।





