শুরু থেকেই যেন তেজে টইটম্বুর লাল-সবুজের মেয়েরা। মাঠের প্রতিটি ইঞ্চি দখলে রেখে শুরু থেকেই আক্রমণের ফলস্বরূপ ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় মেয়েরা।
বাংলাদেশের নাম্বার সেভেন স্বপ্না রাণীর বাঁকানো ফ্রি কিকে যে কেউ খুঁজে নিতে পারেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ছাপ।
লিড পেয়ে যেন আরো বিধ্বংসী মেয়েরা। মিনিটখানেক পর মুনকি আক্তারের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মেয়েরা। এরপরে একের পর এক আক্রমণ শানালেও গোল মিসের মহড়ায় নামে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। যদিও প্রথমার্ধ শেষের মিনিট সাতেক আগে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলে আবারো গোলমুখ খোলেন সাগরিকা।
বিরতির পর কোচ পিটার বাটলার অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারসহ তিনজনকে উঠিয়ে নিলে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। নিখুঁত পাসিং, দ্রুত গতির কাউন্টার অ্যাটাক সব মিলিয়ে যেন একপাক্ষিক প্রদর্শনী।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাগরিকার পাসে আনমার্কড থাকা মুনকি গোল করেন। এরপরেই জালে বল জড়ান শিখা। তিন মিনিট পর একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে বক্সে ঢুকে নীচু শটে ব্যবধান বাড়ানোর পাঁচ মিনিট পর নিজের হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন নাম্বার টেন সাগরিকা।
রুপা বাংলাদেশের হয়ে অষ্টম গোল করেন। যদিও বাংলাদেশের ডিফেন্স আধিপত্যে চিড় ধরিয়ে ইনজুরি সময়ে শ্রীলঙ্কার লালিয়ান এক গোল শোধ দেন। শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে স্বাগতিকদের হয়ে নবম পেরেক ঠুকে বড় জয় নিশ্চিত করেন করেন শান্তি।