ইতিহাস নিয়ে না ভেবে সময় এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার: পিটার বাটলার

জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার
জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার | ছবি: এখন টিভি
0

বাংলাদেশের মানুষ পেছনের ইতিহাস নিয়ে বেশি চিন্তা করে, কিন্তু সময় এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার— অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে খেলতে যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। আর সাফে খেলার অভিজ্ঞতা বাছাইপর্বে বাংলাদেশকে ভালো খেলতে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার।

পুরুষ ফুটবলে সাফল্য সোনার হরিণ হলেও নারীদের শিরোপা জয় যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জাতীয় দল কিংবা বয়সভিত্তিক, যেকোনো পর্যায়ের ফুটবলেই ম্যাচ ও শিরোপা জয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রাখছেন আফঈদারা।

অবশ্য এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয় নিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের অতীত পরিসংখ্যান বেশ হতাশার। তবে মাস্টারমাইন্ড কোচ পিটার বাটলার ইতিহাসে বিশ্বাসী নন, তাকাতে চান সামনের দিকে, ধরে রাখতে চান সাফল্যের ধারাবাহিকতা।

অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় নারী ফুটবল দলের হেড কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘পেছনের দিকে তাকাতে চাই না। ইতাহাস এখন অতীত। সময় এখন সামনে তাকানোর, এগিয়ে যাওয়ার। অতীত ঘাটাঘাটি করা এ দেশের মানুষের নেতিবাচক প্রবণতা। পূর্বের পরিসংখ্যান কোনো কাজে আসবে না। আমরা ভালো খেলার দিকেই মনোনিবেশ করছি।’

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে এইচ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গী দক্ষিণ কোরিয়া, স্বাগতিক লাওস ও তিমুর লেস্তে বা পূর্ব তিমুর। লাওস ও পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কোচ বাটলার। তবে ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ৩১ নম্বরে থাকা দক্ষিণ কোরিয়াকে শক্ত প্রতিপক্ষই মানছেন কোচ বাটলার।

কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। আমরা আগ্রাসী কৌশলেই খেলবো।’

গ্রুপ পর্ব থেকে আট গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন টিকিট পাবে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের টিকিট। তবে আট গ্রুপ থেকে সেরা তিন রানার আপের সুযোগ থাকবে মূল পর্বে খেলার। সাফ জয়ের পর বিরতি না নিয়েই বিশেষ ক্যাম্পেইনে থাকা আফঈদা আত্মবিশ্বাসী, মূল টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেই দেশে ফিরবেন তারা।

আফঈদা খন্দকার বলেন, ‘আমাদের দলগত বন্ডিং এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। কারণ সাফে আমাদের ২৩ জন খেলোয়াড়দের সবাই গেম টাইম পেয়েছে। সবার মধ্যেই একটা আত্মবিশ্বাস আছে যে, আমরা এএফসিতে গিয়ে ভালো কিছু করবো।

আগামী ২ আগস্ট বাছাইপর্ব পেরিয়ে আরও একটি ইতিহাস রচনার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়বে নারী ফুটবলের জুনিয়র দল।

এসএইচ