ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের ধারাবাহিক সাফল্য এখন আর নতুন কিছু নয়। সাফল্যের মুকুটে এবার যোগ হয়েছে আরও একটি পালক। প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে সাগরিকারা।
চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করে মধ্যরাতে দেশের মাটিতে পা রাখেন স্বপ্না-আফঈদারা। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব খেলে সোমবার (১১ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে দেশে ফেরেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের সদস্যরা। লাওস থেকে ব্যাংকক হয়ে ঢাকায় পৌঁছান ফুটবলাররা।
বাছাইপর্বে তিন ম্যাচের মধ্যে দুইটিতে জিতে থাইল্যান্ডে মূল আসরে খেলবে আফঈদা খন্দকারের দল। নারীদের মূল দল এশিয়ান কাপের টিকিট কাটার পর বয়সভিত্তিক দল হিসেবে খেলবে এই আসরে। স্বভাবতই প্রত্যাশাটাও বেশ বড় বাংলাদেশের মেয়েদের। তবে এর জন্য নিজেদের স্কিল আরও উন্নতির কথা জানান দলের গোলরক্ষক।
আরও পড়ুন:
স্বপ্না রানী বলেন, ‘আমরা যে টার্গেটটা নিয়ে গিয়েছিলাম, সেটা পূরণ হয়েছে। ওদের ট্রেইনিং-চলাফেরা সবকিছুতেই বিস্তর একটা পার্থক্য রয়েছে। আমরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পেরেছি। আমরা কোয়ালিফাই করেছি এবং এই ম্যাচের অভিজ্ঞতাটা পরের রাউন্ডের ম্যাচগুলোতে কাজে লাগবে।’
নারীদের মূল দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২০ দলেরও অধিনায়কের দায়িত্বে আফঈদা খন্দকার। দুটো দলই খেলবে এশিয়ান কাপের মূল আসরে। তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় তার। এছাড়া বাফুফে থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তার পাওয়ার প্রত্যাশা অধিনায়কের।
আফঈদা বলেন, ‘আমাদের ২৩ জনের স্কোয়াড, কোচিং প্যানেল এবং প্রসিডেন্টসহ সবারই অবদান ছিল। এজন্যই আমরা ভালো করতে পেরেছি।
আগামী বছর এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের আসর। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে এশিয়ার আরও ১১টি দল।