মেজর লিগ সকার ২০২৫-এর ফাইনালে ম্যাচ শুরুর আগেই ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়াম দর্শকে পূর্ণ। যেখানে ইন্টার মায়ামির প্রতিপক্ষ কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি লিওনেল মেসি ও থমাস মুলার। ক্যারিয়ারের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ জর্দি আলবা ও সার্জিও বুস্কেটসের।
ম্যাচের শুরুতেই মিয়ামির আক্রমণ। মেসির চমকে দেওয়া পাস থেকে তৈরি চাপে ভ্যাঙ্কুভার ডিফেন্সের ভুল। এডার ওকাম্পোর আত্মঘাতী গোলে শুরুতেই মায়ামির লিড। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গোলাপি শিবির।
আরও পড়ুন:
ম্যাচের গতি বদলে দিতে দারুণ পাল্টা আক্রমণ সাজায় ভ্যাঙ্কুভারও। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে আলি আহমেদের গোলে সমতা। স্টেডিয়ামে তখন টানটান উত্তেজনা।
এরপরই দেখা যায় পরিচিত এক গল্প। দলের বিপদে উঠে দাঁড়ান লিওনেল মেসি। ৭১তম মিনিটে ভ্যাঙ্কুভার ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বল কেড়ে নিখুঁত পাস দেন রদ্রিগো দি পলকে। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের গোলে আবার এগিয়ে মিয়ামি।
ম্যাচের শেষদিকে আবারও মেসির জাদু। ইনজুরি টাইমে তার দুর্দান্ত আরেকটি পাস কাজে লাগিয়ে গোল করেন আলেন্দে। ৩–১ ব্যবধানে এগিয়ে মায়ামি, শিরোপাও নিশ্চিত।
আরও পড়ুন:
শেষ বাঁশি বাজতেই শুরু হয় উন্মাদনা। ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার এমএলএস কাপের স্বাদ পেল ইন্টার মায়ামি। দুই অ্যাসিস্টসহ ম্যাচ জুড়ে জাদু দেখানো মেসি ফাইনালের ম্যাচসেরা। তার জাদুতে ক্যারিয়ারের শেষটা রঙিন হয়েছে জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসেরও।
২৯ গোল ও ১৯ অ্যাসিস্ট নিয়ে এমএলএস মৌসুম শেষ করলেন মেসি, জিতেছেন গোল্ডেন বুট। প্লে–অফে ১৫টি গোল–কন্ট্রিবিউশন করেছেন, যা এমএলএসে নতুন রেকর্ড। এরই মাধ্যমে ক্যারিয়ারে ৪৮তম শিরোপা জয়ে নিজের ট্রফির শোকেসে মেসি যুক্ত করলেন আরেকটি পালক।





