‘গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা.. কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।’ রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ এই কবিতার লাইনগুলো পুরোপুরি মিলে গেছে হালিমা, সুমাইয়া কাব্য গায়েনদের সঙ্গে। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে কোর্টে নেমে দিনের আলোতে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাদের।
শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনাই একমাত্র ভরসা। কারণ অর্ধশতক পার হলেও বৃষ্টিতে খেলার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই দেশের টেনিস ফেডারেশনের। যে কারণে ‘জাগো জুলাই’ শিরোনামে ৫ দিনের প্রতিযোগিতার প্রথম দিন এভাবে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় দিন কাটিয়েছেন খেলোয়াড়ররা।
খেলোয়াড়রা জানান, বৃষ্টি নামলেই খেলা বন্ধ হয়ে যায় তাদের। একটা ইনডোর স্টেডিয়াম থাকলে তাদের ভোগান্তি থাকতো না বলে মনে করছেন তারা।
জুলাইয়ের শেষ দিকে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে টেনিসের নতুন এডহক কমিটি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে ফেডারেশনের তিনটি কোর্টে শেড বসাতে চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে— দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা এত দেরিতে কেন?
বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক কারেন বলেন, ‘তিনটা কোর্ট শেড দিয়ে কাভার করছে। এটা যাতে নির্বিঘ্নে করা যায়, সেজন্য আমরা ওই শেডের পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের সরকার থেকেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
এ তো গেলো কোর্টের সমস্যা। দীর্ঘ দিনের টেনিস ফেডারেশনে খেলোয়াড়দের আবাসন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রয়েছে আরও নানা অভিযোগ। তবে জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব বুঝে নিলেও এখনও এসব বিষয়ে অজানা ফেডারেশন কর্তাদের।
ইশতিয়াক কারেন বলেন, ‘এখানে রাখলে সুবিধা হয়, আমাদের কন্ট্রোলের মধ্যে থাকে। তাছাড়া, বাইরে খেলতে গেলে আমাদের বাজেটের মধ্যে ভালো হোটেল দেয়াও মুশকিল।’
আসন্ন বছরের শুরুতে এসএ গেমসে পদক জয়ের জন্য দেশ ছাড়বে দেশের টেনিস খেলোয়াড়রা। সেপ্টেম্বরে খেলোয়াড় নির্বাচন কার্যক্রম শুরু করবে ফেডারেশন। এর মধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা আছে ফেডারেশনের।