ফর্মুলা ওয়ানে নতুন যুগের সূচনা ২০২৬ সালে

স্পোর্টস কার
স্পোর্টস কার | ছবি : এখন টিভি
0

২০২৬ সালে একেবারে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে ফর্মুলা ওয়ান। চলতি বছরের নিয়মের তুলনায় ২০২৬ হবে প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রেসিং প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক এক বছর।

২০২৬-এর ফর্মুলা ওয়ান হবে আরও ক্ষিপ্র, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধ। নতুন নিয়ম ও কৌশল চালু হলে রেসিং স্পোর্টের ইতিহাসেও এটি এক মাইলফলক হিসেবে জায়গা করে নিবে।

২০২৬ সালে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো গাড়িগুলোর আকৃতি। এবারের গাড়িগুলো হবে ছোট, হালকা ও আকর্ষণীয়। নতুন নীতিমালায় মোটরস্পোর্টস ইঞ্জিনিয়াররা গাড়ির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কমিয়ে ৩০ কেজি ওজন কমানো এবং মোট ১০০ মিলিমিটার প্রস্থ কমানোর প্রস্তাব পেশ করেছে, যার ফলে গাড়িগুলি হবে আরও শক্তিশালী।

২০২৬ সালে পাওয়ার ইউনিটেও আসছে বড় পরিবর্তন। বর্তমান ভি-সিক্স হাইব্রিড ইঞ্জিন থাকবে ঠিকই, কিন্তু ইলেকট্রিক শক্তির অংশ বাড়ছে প্রায় ৫০ শতাংশ, এবং এটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে যা নেট জিরো কার্বনের লক্ষ্যকে সামনে রাখার একটি বড় পদক্ষেপ।

ডিআরএস বা ড্র্যাগ রিডাকশন সিস্টেম যা ফর্মুলা ওয়ান-এর প্রধান ওভারটেকিং টুল ২০২৬-এ তা বদলে দেওয়া হচ্ছে পুরোপুরি। আর এর বদলে আসছে মুভেবল ফ্রন্ট ও রিয়ার উইংসের অ্যাকটিভ অ্যারোডাইনামিক সিস্টেম, যেটা রেসের সময়ে স্ট্রেইট ও কর্নারে আলাদা মোডে ব্যবহার করা যাবে।

আরও পড়ুন:

নতুন নিয়মে সেফটি আরও জোরদার করা হয়েছে। এতে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়বে এবং গাড়ির নিরাপত্তা হবে আরও শক্ত। আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক খরচ নিয়ন্ত্রণ ও টেকসই ফুয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে ফর্মুলা ওয়ান হয়ে উঠবে আরও পরিবেশবান্ধব।

এছাড়া এফআইএ ২০২৬-এর জন্য নতুন লিভারি রুলও ঘোষণা করেছে। এবার প্রতিটি গাড়ির ৫৫ শতাংশ অংশে টিমের লোগো ও রঙ থাকতে হবে, যা ভিজুয়াল আইডেন্টিটি বাড়াবে। একই সঙ্গে ড্রাইভাররা চাইলে রেসিং নম্বরও পরিবর্তন করতেও পারবে যা আগে কেবল চ্যাম্পিয়নদের জন্য প্রযোজ্য ছিলো।

২০২৬ মৌসুম শুরু হলে কীভাবে নতুন গাড়ি ও নতুন নিয়ম চালু হবে প্রতিযোগিতায় সেই দিকেই এখন গোটা বিশ্বের চোখ।

এফএস