পাহাড়ে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত; বাড়ছে ড্রাগন ফলের বাণিজ্যিক চাষ

বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে ড্রাগন ফল সংগ্রহ করছেন একজন চাষি
বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে ড্রাগন ফল সংগ্রহ করছেন একজন চাষি | ছবি: এখন টিভি
0

পার্বত্য এলাকায় আশা জাগাচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া সুস্বাদু ফলটির চাষের উপযোগী হওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে পরিধি। এরইমধ্যে অনেকেই ফলটির বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষ হয়েছে। এসব ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। পাহাড়ে ড্রাগনের আবাদ আরও বাড়াতে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বান্দরবানের সবুজ পাহাড়ের বুকে ড্রাগনের বাগান। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে রঙিন ফল। জেলার সদর উপজেলার কুহালং হেডম্যানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রুনু মং মারমা। নিজের এলাকার ৫ একর পাহাড়ি জমিতে গড়ে তুলেছেন ড্রাগনের বাগান। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অনেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন। এরইমধ্যে দেখা মিলছে সাফল্যের।

প্রুনু মং মারমা বলেন, ‘এরইমধ্যে কয়েকদফা আমি বিক্রি করেছি। এ বছরে আমি আশা করি ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।’

একটি বাগান থেকে বছরে ৩ থেকে ৪ বার ফল সংগ্রহ করা যায়। পাহাড়ে উৎপাদিত ড্রাগন আকারে বেশ বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারেও চাহিদা বেশি। পার্বত্য এলাকায় উৎপাদিত এসব ড্রাগন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং আশানুরূপ দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

চাষিরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। রাস্তা ভালো হওয়াতে সহজে সরবরাহ করতে পারছেন।

এদিকে, আবাদের পরিধির পাশাপাশি ফলন বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সার্বিক সহায়তার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম এম শাহনেওয়াজ বলেন, ‘আমাদের গত অর্থবছরে ড্রাগন চাষিদের জন্য একটি উচ্চমূল্যে ফসল আবাদের কর্মসূচি দিয়েছিল। সে কর্মসূচি থেকে আমরা কয়েকজন উদ্যোক্তাকে কলম দিয়ে বাগান এক্সটেনশনের সুযোগ করে দিয়েছি।’

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে দেড় হাজার টন ফল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইএ