দুবাইয়ের শ্রমঘন অঞ্চল সোনাপুর। সংখ্যার হিসেবে এটি বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চল। তবে লেবার ক্যাম্পের কারণে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশের নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে স্বল্প আয়ের প্রবাসীরা এখানে বসবাস করেন। আয়ের সঙ্গে এদের জীবনযাত্রা ও চাহিদা সমান্তরাল গতিতেই বহমান।
স্বল্প আয়ের এই শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে সোনাপুরে নির্মাণ করা হয় কমিউনিটি মার্কেট। ছোট ছোট দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন স্থানীয় প্রবাসীরাই। যেখানে ব্যবসায়ীদের দুই তৃতীয়াংশই বাংলাদেশি।
দোকানদাররা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি কাস্টমারদের সন্তুষ্টির জন্য। আমরা চেষ্টা করি যতটা সম্ভব কম দামে কাস্টমারদের জিনিসপত্র দেয়ার জন্য যাতে তারা সন্তুষ্ট থাকেন।’
প্রবাসীরা জনান, এখানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দোকান বাংলাদেশিদের। বাজার চালু হয় বিকেল ৪টা থেকে এবং চলতে থাকে রাত ১১টা পর্যন্ত। বাজার অল্প জায়গায় হলেও এখানে সবজি থেকে শুরু করে মোবাইল এক্সেসরিজ, জুতা, সব ধরনের ফল পাওয়া যায়।
একসময় এই শ্রমঘন অঞ্চলটি ঘিরে কিছু খোলা বাজার বসত। বাংলাবাজার নামে সেগুলো পরিচিত ছিল। নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা ও ঝুঁকি কমাতে প্রশাসনিকভাবে খোলা বাজার বন্ধ করে সুন্দর ও গোছালো কাঠামোর মাধ্যমে এই কমিউনিটি মার্কেট তৈরি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, খোলা বাজারে সরকারের অনেক লস হয়। এখন এ মার্কেট থেকে সরকার কিছু পরিমাণ রেন্ট নিয়ে থাকেন। এডভান্স ও দেয়া লাগে না।
তাজা সবজি, ফল, মাছ-মাংস, পোশাকসহ নিত্য ব্যবহারের সকল পণ্য মিলছে একই স্থানে। বিকেল চারটা থেকে শুরু হয় বেচাকেনা। সন্ধ্যার পর বাড়তে থাকে লোকসমাগম। কম দামে হাতের নাগালে সকল পণ্য পাচ্ছেন স্বল্প আয়ের প্রবাসীরা।
প্রবাসীরা বলেন, ‘এখানে আসলে আমাদের দেশের একটা অনুভূতি পাই। আবার অনেকে কম মূল্যে কেনাকাটা করতে আসেন এখানে যাদের কাছে মার্কেটর মূল্যে কেনা সম্ভব নয়।’
দুবাইয়ের আরও বেশ কয়েকটি শ্রমঘন অঞ্চলে রয়েছে এ ধরনের কমিউনিটি মার্কেট। দিনে দিনে স্বল্প আয়ের প্রবাসীদের কাছে এসব বাজার হয়ে উঠছে নির্ভরতার প্রতীক।