জামালপুরে পাটের বাম্পার ফলন; জাগে পানি সংকটে কৃষকরা বিপাকে

জামালপুরে পাট চাষ
জামালপুরে পাট চাষ | ছবি: এখন টিভি
1

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর জামালপুরে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে পাটের ভালো চাহিদা ও দাম থাকায় খুশি পাট চাষিরা। তবে, খাল-বিল-নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট পচানোতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। পাট জাগের সমস্যায় 'রিবন রেটিং সিস্টেমে'র মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।

অনুকূল পরিবেশ আর বীজের সহজলভ্যতার কারণে চলতি বছর জামালপুর সদর, ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ২৩ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে দেশী, তোশা, কেনাফ ও মেস্তা জাতের পাটের চাষ হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব পাট বিক্রি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

পাট চাষিরা জানান, আবহাওয়া ভালো হওয়ার কারণে পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবে খাল-বিলে পানি না থাকায় পাট পচাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

বাজারে ভালো চাহিদার পাশাপাশি পাটের দরও মিলছে ভালো। কৃষকরা জানান, পাট চাষে কম খরচে অধিক লাভ হয়। কিন্তু, পাট কাটার পর তা পচানোর জন্য নিতে হয় জলাশয়ে। খাল,বিল ও নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির অভাবে পাট পচানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ায় চাষের পরিমাণ কমছে। আবার অনেক সময় লোকসানের কারণেও কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।

আরও পড়ুন:

কৃষকরা পানির অভাবে পাট পচানোর যে সমস্যায় রয়েছে তা সমাধানে রিবন রেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তায় কাজ করছে জেলা কৃষি বিভাগ।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাটের আঁশ ছাড়াতে কৃষকরা সমস্যার মম্মুখীন হলে রিবন রেটিং সিস্টেমের পরামর্শ দিয়ে থাকি। কৃষি বিভাগের পক্ষথেকে তাদের সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।’

গত বছরের তুলনায় এবছর এক হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ কমে চাষ হয়েছে ২৩ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে

এফএস