পদত্যাগকারীদের মধ্যে ৫ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ১০ জন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন, যুগ্ম সমন্বয়কারী মমিনুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, রাশিদুল জামান ও জসীম উদ্দীন। সদস্যরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া ও সাদেকুল ইসলাম।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১ টায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়া বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র। যা দ্রুতই উন্মোচন করা হবে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টির নকলা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির একজন অযোগ্য, অনাদর্শিক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এ অবস্থায় আত্ম-বিশ্লেষণের পর আমরা স্বেচ্ছায় ও সম্মিলিতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে পদত্যাগকারী যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নকলায় যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে প্রধান সমন্বয়কারীকে নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। এ ছাড়া এনসিপির ত্যাগী নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই এ কমিটি থেকে আমরা ১৫ জন পদত্যাগ করেছি। এসব পদত্যাগপত্র এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়া বলেন, ‘কমিটি থেকে একযোগে পদত্যাগের ঘটনাটি মূলত ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। আমাদের দুর্বার সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যারা বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি, তারাই এ ফাঁদে পা দিয়েছে। দ্রুতই সবকিছু সবার সামনে উন্মোচন করা হবে।
উল্লেখ্যে গত ১০ আগস্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে নকলার হুমায়ুন কবিরকে প্রধান সমন্বয়কারী করে ৩২ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।