স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করতেন। কিছুদিন যাবত তাদের বাড়ির লোকজন বাহিরে যাতায়াত দেখতে পাচ্ছিল না। এছাড়া বাড়ির মূল দরজায় বাহির থেকে তালা লাগানো ছিল।
সকালে ঘরের ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের জানালার থাই গ্লাস খুলে দেখতে পান রেজিয়া এর মরদেহ দরজার কাছেই উপুড় অবস্থায় মেঝোতে পড়ে আছে। পরে বিষয়টি থানা পুলিশে অবগত করা হয়।
পরবর্তীতে পিবিআই এবং সিআইডির নেতৃত্বে পোরশা থানা পুলিশ স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করা হয়। রেজিয়া খাতুনের মরদেহ মেঝেতে উপুর অবস্থায় এবং তার ভাই নুর মোহাম্মদের মরদেহ তার শয়ন কক্ষে পড়ে আছে। তাদের মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
পোরশা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সকালে দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করতেন। নুর মোহাম্মদ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও বোন রেজিয়া বেগম সুস্থ ছিলেন। গত কয়েকদিন থেকে এলাকাবাসী তাদের দেখতে পায়নি। দুর্গন্ধ ছড়ানোর পর প্রতিবেশীরা গিয়ে তাদের মরদেহ দেখে থানায় সংবাদ দেয়।’