শনিবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় নোয়াখালীর টাউন হল মোড়ে প্রধান সড়কে অবস্থান নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা। একই সময় নোয়াখালী সুপার মার্কেটের অবস্থান নেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিশ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, জাস্টিস ফর জুলাইসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থেকে কর্মসূচিতে সমর্থন জানান।
কর্মসূচি সমূহে বক্তারা বলেন, ‘২৪ এর গণহত্যার দৃশ্যমান এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। অথচ ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দিয়েই এই সরকার গঠিত হয়েছিল। এই সরকার নিজের স্বীকৃতি নিজেই নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সরকার বারবার বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের কথা বলছেন, কিন্তু জুলাই পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় সংস্কারের কথা ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা আশা করব আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের মাধ্যমে সরকার সংস্কারের প্রথম ধাপ শেষ করবেন।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে গেছে সেটি ভুল ধারণা। ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে এদেশের বুকে বারবার জুলাই নেমে আসবে। জুলাই বিপ্লবীদের কোনভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না। রাজনৈতিক যে সকল দল এখনো নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখে আমরা প্রতিনিয়ত অবাক হচ্ছি। আমরা চাই অতি দ্রুত সকল দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্তের উপনীত হবেন।’
এসময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ‘ব্যান করো ব্যান করো, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘হ তে হাসিনা, তুই স্বৈরাচার-তুই স্বৈরাচার’, ‘ক তে কাউয়া কাদের, তুই খুনী-তুই খুনী’ এবং ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার, ৯ মে) বিকেলেও একই দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করেছিল সংগঠনগুলো।
