নির্মাণাধীন সড়কের পাশে মজুত রাখা নির্মাণসামগ্রী। কোনো অংশে আবার চলমান কাজ। এ ছাড়াও খোঁড়াখুঁড়ি আর ধুলোর যন্ত্রণা মিলিয়ে বাধাঘাট থেকে এয়ারপোর্ট সড়ক যেন দুর্ভোগের আরেক নাম।
প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু উন্নয়ন কাজের ধীরগতি প্রশ্ন তুলছে বাস্তবায়নের দায় নিয়ে। তাদের অনেকেরই অভিযোগ, এখনো পাননি জমি অধিগ্রহণের টাকা। পাশাপাশি রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ধীর গতিতে কাজ করার কারণেই ভোগান্তিতে তারা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এই রাস্তার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয়, আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি।’
সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সাথে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার যানজটমুক্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনসহ সিলেটের ভোলাগঞ্জ হতে চলাচলকারি ট্রাক ও অন্যান্য ভারী যানবাহনের জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও, তা না হওয়ার পেছনে নানা জটিলতা তৈরি হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যেই শেষ হবে পুরো কাজ।
সিলেট সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হতে আরো কিছু সময় লাগবে। এই পর্যায়ে আমাদের প্রকল্পটার ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করছি ২০২৬ এর জুনের মধ্যেই আমাদের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হবে এবং সময়ের মধ্যেই আমাদের প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন হবে।
বাধাঘাট থেকে এয়ারপোর্ট চারলেন সড়কটির গুরুত্ব কেবল সিলেট শহরবাসীর জন্যই নয়, এই সড়কের দুরাবস্থা প্রভাব ফেলছে পুরো অঞ্চলের ওপর। তাই সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করে জনদুর্ভোগ দূর করার জোর দাবি স্থানীয়দের।