আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) বিকেলে শহরের লোকনাথ মন্দির এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে বিশেষ সভা করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। সভায় তিনি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।
এরআগে সাংবাদিকদের দেয়া বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের প্রায়োরিটি হচ্ছে মানুষের জীবন বাঁচানো। যাতে পাহাড়ধস কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের একটি মানুষেরও জীবনহানি না হয়। জীবন নিয়ে তারা সংশয়ে না পড়েন।'
তিনি বলেন, 'আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র নির্ধারণ করা আছে। আমরা আজ পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সরেজমিন দেখতে এসেছি। তাদেরকে সতর্ক করেছি। ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়ে দিয়েছি বিভিন্ন স্থানে। যাতে দুর্যোগের সতর্কবার্তা পাওয়ার সাথে সাথে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসেন।'
এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আছমা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়াত বিন কাসেমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকায় ৫ হাজার পরিবারে অন্তত ২০ হাজার মানুষ রয়েছেন।
গেল ২৬ মে আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের সতর্কবার্তায় জারি করে। এর পরেই মাঠে নামে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
আজ সকাল থেকে রাঙামাটিতে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও পাহাড়ধসের খবর পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাচিংনু মারমা জানিয়েছেন, রাঙামাটিতে এখনও ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত হলে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, 'আপদকালীন পরিস্থিতির জন্য জেলায় ২৬৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ লক্ষ টাকা মজুত রয়েছে।'