সড়কটি উপজেলা সদরের সুবিল, ফতেহাবাদ, রসুলপর ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। দীর্ঘদিন কাজটি সম্পন্ন না করায় স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েন। সদ্য কার্পেটিং করা সড়কের পিচগুলো হাত দিয়ে টান দিলেই হাতে চলে আসে।
সোমবার স্থানীয়রা বিষয়েটি হাসনাত আব্দুল্লাহকে জানালে তিনি বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তার হাতে থাকা একটি স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে টান দিলে কার্পেটিং চলে আসে হাতে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা হাতে টেনে কার্পেটিং তুলতে দেখা যায়।
এক পর্যায়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর মুরাদনগরের এক কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে সড়কের কাজের বিষয়টি অবগত করেন। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেন উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার। তিনি বিষয়টি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেন এবং কাজটি দ্রুত শেষ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানান, ২০১৮ সালে রসুলপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর থেকে সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার মিটার সড়কের কাজ পায় ‘মেসার্স আরতার অ্যান্ড ইয়েস্টেড ইন্টারন্যাশনাল’ কোং লিমিটেড। এ কাজের তৎকালীন ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা। ওই সময় সুবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সুবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের সরকার সাব কন্ট্রাক্টে কাজটি শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন, মেকাডন করার পর করোনা শুরু হলে সড়কটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ ৭ বছরেও এর কার্পেটিং করা হয়নি। ৫ আগস্টের পর গত মে মাসে আবু তাহের সরকার সড়কটির কার্পেটিং কাজ শুরু।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'সড়কে বিটুমিনের ঢালাই ৪০ মিলি দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে ২২-২৫ মিলি। মাটির ওপর দেয়া হয় কার্পেটিং। যা হাত দিয়ে টানদিলেই উঠে আসে। তিন দিন আগে ঢালাই করা কাজের এই অবস্থা। কার্পেটিং তুলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি এলাকাবাসীর চলাচলের ব্যবস্থার করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কাছে।'
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, 'ঠিকাদার নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন। টেন্ডারে যে ভাবে উল্লেখ ছিল, তিনি তা করেননি। সড়কটিতে কার্পেটিং তুলে নতুন কার্পেটিং করতে হবে। অন্যথায় ঠিকাদারকে এই কাজের বিল প্রদান করা হবে না।'