নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর যে অবস্থান

এহসানুল জুবায়ের (বামে); আমির খসরু (মাঝে); হান্নান মাসউদ (ডানে)
এহসানুল জুবায়ের (বামে); আমির খসরু (মাঝে); হান্নান মাসউদ (ডানে) | ছবি: এখন টিভি
0

ক্ষমতায় গেলে ৩০ কোটি গাছ লাগাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), সঙ্গে থাকবে খাল খনন প্রজেক্ট। আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করে পরিবেশ ঠিক করতে হলে ঢাকার খালগুলোতে রাজনীতিবিদ ও মেয়রদের বছরে দুইবার গোসল করার বিধান রাখতে হবে। যদিও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পরিবেশ নিয়ে ধোঁকাবাজি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশ নিয়ে চিন্তার কথা এভাবেই তুলে ধরেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এরই মধ্যে নির্বাচনের ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে রাজনীতির রাজপথে। জনগণকে দলে ভেড়াতে ইশতেহারে কী চমক থাকবে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এতো এতো বিশ্লেষনের মাঝে পরিবেশ নিয়ে দলগুলোর চিন্তা কী, সে বিষয়ে ‘মেনিফেস্টো টক’ নামে একটি সংলাপ আয়োজন করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এ সংলাপে অংশ নিয়ে দলের ইশতেহারে পরিবেশ বাঁচাতে নেয়া কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন দেশের সব বড় রাজনৈতিক দল।

পরিবেশ রক্ষায় ৩০ কোটি গাছ লাগানোর কথা বলছে বিএনপি। এছাড়া নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে খাল খনন প্রকল্পের ওপর জোর দেয়া হবে বলেও জানান বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আমির খসরু বলেন, ‘আমাদের দেশের রিটায়ার্ড লোকগুলো বেকার বসে আছেন, কাজ করছে না। তাদের ইকোনমিতে আনতে হলে এনভাইরনমেন্টাল ইস্যুতে, এটা খুবই সহজ। যে যার এলাকায় কাজ করতে চাইলে সবাই কাজ করতে পারবে।’

অন্যদিকে, জামায়াত মনে করছেন, পরিবেশ রক্ষায় রাজনীতিবিদদের ঢাকার ৪টি খালে বছরে অন্তত দুইবার গোসল করানো উচিত বলে মনে করে জামায়াত।

জামায়াত নেতা এহসানুল জুবায়ের বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টরা করছেন, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের কথা বলছেন, কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ, দেশ এবং আমাদের অস্তিত্বকে শেষ করে দিচ্ছি। এটা এখনই হওয়া উচিত, ক্ষমতায় গেলে আমরা কী করবো, দায়িত্ব পেলে আমি কী করবো, সেটা আমাকে এখনই প্রমাণ করে দিতে হবে।’

সংলাপে যোগ দিয়ে এনসিপি প্রতিনিধি হান্নান মাসউদ বলেছেন, পরিবেশ নিয়ে ধোঁকাবাজির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দের ৩০ শতাংশও খরচ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

হান্নান মাসউদ বলেন, ‘এক সেশনে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) থেকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা করে প্রতিটি ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে— আমি আমার উপজেলার কথা বলছি। সে জায়গায়, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, একটি ইউনিয়নেও ১০ লাখ টাকারও কাজ হয়নি।’ 

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সব রাজনৈতিক দলের একত্রিত হয়ে কাজ করার পরামর্শ আয়োজকদের।

এসএইচ