তিনি জানান, বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শ্রীমঙ্গলের হরিণছড়া চা-বাগানে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- রানা নায়েক, শ্রাবণ নায়েক, কৃষ্ণ রবিদাস ও নিপেন ফুলমালি। এরা সবাই শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা বাগানের চা শ্রমিকের সন্তান।
জানা গেছে, ফিনলে কোম্পানির আওতাধীন হরিণছড়া চা বাগানে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সাথে সাথে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে আহতদের মৌলভীবাজার ২৫০শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সব্যসাচী পাল বলেন, ‘যে ৪ জনকে রাতে নিয়ে আসা হয় তাদের সবাই মৃত ছিল। পরে রবি বুনার্জী নামে একজনকে নিয়ে আসে তাকে আমরা সিলেট ওসমানি হাসপাতালে রেফার্ড করি। আত্মীয়দের কাজ থেকে পাওয়া তথ্য মতে জেনেছি ওরা সেপটিক ট্যাংকে নেমেছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এক রিঙের একটা সেপটিক ট্যাংকে এত টক্সিক গ্যাস কী করে জমলো যে একে একে চার জন একসাথে মারা গেল সেটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না। গ্যাস পয়জনিংও হয়ে থাকতে পারে। পোস্টমর্টেমের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’