ঘটনার পর জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার আদালতের সকল কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আদালত চত্ত্বর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
সহকর্মী আইনজীবীরা জানান, আইনজীবী আব্দুল মান্নান আদালতে একটি রিভিশন মামলার এডমিশন শুনানি করছিলেন। শুনানি করা অবস্থায় তিনি হঠাৎ মাথা ঘুরে মেঝেতে পড়ে যান। এসময় বসার বেঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পান তিনি। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা জানান, অসুস্থ অবস্থায় আইনজীবী আব্দুল মান্নানকে হাসপাতালে নেয়া হলে তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান, হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. মুনতাকিম হায়দার রুমিসহ জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম সুমন তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে তারা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আইনজীবী আব্দুল মান্নানকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছিলেন।’
চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কুহিনূর বেগম বলেন, ‘আমরা এমন খবরের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। তার মৃত্যুতে আগামীকাল ফুট কোট রেফারেন্স থাকবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
জানা যায়, আব্দুল মান্নান খান ২০১০ সালে চাঁদপুুর আইনজীবী সমিতিতে যুক্ত হন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আইনজীবী সমিতির একজন নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫১ বছর। তার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলা কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নে হলেও তিনি শহরে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে নিজ বাসায় বসবাস করতেন।