নিদ্রার চর বা নিদ্রা সৈকত নামকরণ মূলত এর নির্জনতা ও নীরবতা থেকে এসেছে। একদিকে বঙ্গোপসাগর, অন্যদিকে নদী মোহনা, মাঝখানে বিস্তৃত কেওড়া ও ঝাউবনের সবুজ আভা। সাগরের জোয়ার-ভাটার খেলা, নরম ঘাসের চাদরে ঢাকা প্রান্তর যেন তৈরি করেছে স্বপ্নময় এক পরিবেশ।
বরগুনার তালতলী উপজেলা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরের এই চর যেন অবারিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে পর্যটকদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
পর্যটকরা জানান, এ জায়গাটির সৌন্দর্য এখানে না আসলে বুঝা যায় না। এখানে একইসাথে বন আছে, সমুদ্র আছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য এটি একটি সম্ভাবনাময় জায়গা হতে পারে।
সৈকতটি প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ। স্থানীয়দের মতে, এর আয়তন প্রায় ৫ থেকে ৭ বর্গ কিলোমিটার। বর্ষাকালে চরের কিছু অংশ ডুবে গেলেও শীতকালে হয়ে উঠে আরও মনোমুগ্ধকর। তবে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পর্যটকরা।
পর্যটকরা জানান, এ জায়গায় বড় গাড়ি বা মোটর সাইকেল নিয়ে আসতে সমস্যা হয়। যাতায়াত ও খাওয়ার ব্যবস্থা খুব বেশি ভালো না। এগুলো থাকলে আরও অনেক পর্যটকরা আসবেন এখানে। নিদ্রা সৈকতের পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সব সংকট সমাধানের আশ্বাস জেলা প্রশাসকের।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘তালতলীতে ব্যাপক পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যখন আরও ভালো হবে তখন এখানে পর্যটক বাড়বে এবং এ এলাকাটি পর্যটন শিল্প হিসাবে আরও সমৃদ্ধি লাভ করবে। এরইমধ্যে, যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের সঠিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নিদ্রার চর হয়ে উঠতে পারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।