নিহতরা হলেন- পাঁছগাছিয়া ইউনিয়নের লক্ষিয়ারা উজালিয়া কাজি বাড়ীর শাহ আলমের ছেলে মোশারফ হোসেন (২৯) ও একরাম হোসেন (১৮)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি পিকআপভ্যান রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো। হঠাৎ পেছন দিক থেকে একটি দ্রুতগামী বাস এসে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোশারফ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করে।
এছাড়া একরামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করা হয়। চট্টগ্রাম নেয়ার পথে একরাম হোসেনও মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই মো. সুজন বলেন, ‘মোশারফ আলভী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পরিবহনে চাকরি করে। তাদের একটি পিকআপ রাস্তার পাশে পড়ে যায়। তার কোম্পানি আলভী এন্টারপ্রাইজের মালিক তাকে খবর দেয় সেখানে গিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করতে। সে রাত ৩টার দিকে তার ছোট ভাইকে নিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করতে যায়। গাড়িটি তুলে রাস্তাপাশে দাড় করায়। এ সময় মোশারফ পিছনে চাকার যোগান দিতে যায়। হটাঠ পিছন থেকে নোয়াখালী গামি লালসবুজ নামে একটি বাস পিকআপটিকে সজোরে ধাক্কা দেয় এরপর ঘটনাস্থলে মোশারফ হোসেন মারা যায় এবং তার ছোট ভাই একরাম আহত হয়। আহতকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম নেয়ার পথে সেও মারা যায়। এক সাথে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘একটি অজ্ঞাত বাস পিকআপকে সজোরে ধাক্কা দেয় এই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এবং একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’