কর্মসূচিতে অংশ নিতে সোমবার (২৮ জুলাই) রাতেই টাঙ্গাইলে পৌঁছেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তারা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন। পরে ভাসানী দরবার হলে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
এছাড়া আজ (মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই) টাঙ্গাইলে যোগ দিচ্ছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্য সচিব সারোয়ার নিভা, ও ডা. তাজনুভা জাবিন।
উত্তরাঞ্চলের সংগঠক আজাদ খান ভাসানী বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়কদের পদচারণায় বিপ্লবী টাঙ্গাইলের মাটি আবারও গর্জে উঠবে। আমরা আশা করছি, পদযাত্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণ হবে।’
পদযাত্রা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা সদরের শামসুল হক তোরণ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিরালা মোড়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় মিলিত হবে।
আজাদ খান আরও বলেন, ‘নিরালা মোড় ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলনের স্মারক। একসময় এই মোড়েই ধ্বনিত হয়েছিল প্রতিরোধের গর্জন, জাগরণ ও স্বাধীনতার চিন্তা। সেই ঐতিহাসিক মাটিতে আবারও স্পর্শ রাখবে এনসিপির পদযাত্রা। রচিত হবে নতুন সময়ের ইতিহাস।’
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, পদযাত্রা ঘিরে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এপিবিএন পুলিশের ৭০ সদস্যসহ মোট ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য টাঙ্গাইলে দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।’