গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মীর দেওহাটা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), একই এলাকার রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মো. রানা (২০), ভূঁইয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩) ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন তালচানা গ্রামের আলকেস এর কন্যা আকলিমা বেগম (৪০)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ওই নারী অপহরণের শিকার ভুক্তভোগীর স্ত্রী। এর আগে, শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে অপহরণের শিকার রহিম মিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় সেখান থেকে নারীসহ ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এ চক্রের নেতৃত্ব দেওয়া রাকিব হোসেন (১৮) নামের এক তরুণ পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, একই ইটভাটায় কাজ করার সময় অপহরণের শিকার আব্দুর রহিমের সাথে গ্রেপ্তার আকলিমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে তারা বিয়েও করেন। ইটভাটার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আব্দুর রহিম তার নিজ এলাকায় চলে যায়। সেখানে তার আরেক স্ত্রী রয়েছে।
৬ থেকে ৭ মাস যাবত আব্দুর রহিম আকলিমার সাথে যোগাযোগ না করায় তাকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন স্ত্রী আকলিমা। ফোন করে তাকে মির্জাপুরে আসতে বলেন তিনি। আব্দুর রহিম মির্জাপুরে আকলিমার ভাড়া বাসায় আসার পরপরই এ মামলায় পলাতক রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে গ্রেপ্তার অন্যরা আব্দুর রহিমকে মারধর করে এবং পরবর্তীতে গোড়াই পালপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করেন।
এরপর তার স্বজনদের কাছে ফোন করে ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয়। জিম্মি আব্দুর রহিমের স্বজনরা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নির্ণয় করে দ্রুত অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’