এসিল্যান্ড অফিসে অনুষ্ঠান করতে বাধা, ভাঙচুরের অভিযোগ; এনসিপির ৪ নেতার নামে জিডি

এনসিপির দোয়া ও পাশে শহিদ মুগ্ধর ছবি
এনসিপির দোয়া ও পাশে শহিদ মুগ্ধর ছবি | ছবি: এখন টিভি
1

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের অভ্যন্তরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনুষ্ঠান করতে বাধা দেয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দলের চার নেতার নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। যদিও বাধা উপেক্ষা করে নিজেদের কর্মসূচি পালন করে এনসিপি।

আজ বিকেলে এনসিপির ৪ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন।

সাধারণ ডায়েরি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসের অভ্যন্তরে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি গেল বছরের ৫ আগস্ট ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পরে ওই ম্যুরালের স্থলে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ছবি লাগানো হয়।

নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যুরালের জায়গাটি টিনের বেড়া দিয়ে ঢেকে দেয় এসিল্যান্ড অফিস। মঙ্গলবার ওই টিনের বেড়া ভেঙে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও জুলাই মঞ্চ করতে চায় এনসিপি।

তবে পূর্ব অনুমতি না থাকায় সরকারি অফিসের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠান না করার জন্য বলা হয় এনসিপি নেতৃবৃন্দদের। এতে কর্ণপাত না করে এনসিপির আশুগঞ্জ উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম ডালিম, যুগ্ম সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম দিপু, সমন্বয়কারী সুমন মৃধাসহ আরও কয়েকজন সহকারী কমিশনারকে হুমকি দিয়ে মব সৃষ্টির চেষ্টা করে বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির আশুগঞ্জ উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম ডালিম বলেন, ‘এসিল্যান্ড অফিসের পেছনের খোলা জায়গায় আওয়ামী লীগের লোকজন ম্যুরাল বানিয়েছিল। আগে এখানে আওয়ামী লীগও সবসময় অনুষ্ঠান করত। গত বছরের ৫ আগস্ট ম্যুরাল ভাঙার পর এটি মুগ্ধ চত্বর ঘোষণা করা হয়। এখানে আমরা মিলাদ মাহফিল করতে গেলে এসিল্যান্ড বাধা দেয়। তখন আমরা বলেছি আগে যখন আওয়ামী লীগ এখানে অনুষ্ঠান করত তখন তো বাধা দিতেন না। ঘটনা এটুকুই, এসিল্যান্ডের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা বেড়া ভাঙার অভিযোগ সঠিক নয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, ‘ম্যুরালটি সরিয়ে নেয়ার পর জায়গাটি টিনের বেড়া দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। এখানে এনসিপি নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে জুলাই মঞ্চ করতে চাচ্ছিল। কিন্তু সহকারী কমিশনার তাদেরকে জানিয়েছিলেন যেহেতু এটি সরকারি অফিস এখানে জুলাই মঞ্চ বা দলীয় কার্যালয় করার সুযোগ নেই। আজকে কারও কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই টিনের বেড়া সরিয়ে সেখানে জুলাই মঞ্চের ব্যানার টানিয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে তারা।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘এনসিপির জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক আকিব জাবেদ আমাকে ফোন করে অনুমতি দেয়ার জন্য বলে। আমি বলেছি অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই। পরে সে বলেছে আমাদের অনুমতি লাগবে না, নিজেরাই করে নিতে পারব। আপনারা পারেন তো ঠেকান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’

এএইচ