বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম বলিপাড়া ইউনিয়নের হানরাম পাড়া, সতীশচন্দ্র পাড়া, রামদু পাড়া, আদিগা পাড়াসহ বিভিন্ন পাড়ায় বসবাস করেন কয়েক হাজার পরিবার।
দুর্গম এলাকা হওয়ায় যোগাযোগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা—সব দিক থেকেই পিছিয়ে ছিল স্থানীয়রা। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে হতো নদী পথে কিংবা পায়ে হেঁটে। নিজেরা উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে বা অসুস্থ রোগী হাসপাতালে নিতে হতো চরম দুর্ভোগ পোহাতে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষাকালে চলাচলে চরম অসুবিধা হতো। এখন ব্রিজ হওয়ায় এলাকাবাসীর জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এতে সময় ও ঝুঁকি দুই-ই কমেছে।
সার্বিক বিবেচনায় উপজেলা ও জেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে নেয়া হয় উদ্যোগ। শুরু হয় বলিপাড়া এলাকায় সাঙ্গু নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ। সম্প্রতি নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় বদলে গেছে বলিপাড়া ইউনিয়নের চিত্র। সহজ হয়েছে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, সেতু নির্মাণের ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়দের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নয়ন ঘটবে।
আরও পড়ুন:
উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, ‘প্রকল্পটি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর ফলে ১২টি গ্রামের ৭ হাজার মানুষ সড়ক যোগাযোগের আওতায় এসেছে। বলিপাড়া ও থানচি—উভয় এলাকারই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০১৯ সালে প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণকাজ।