সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চর-বালিথা থেকে বহেরা পর্যন্ত বয়ে চলা ঐতিহাসিক কলকাতা খাল। যে খাল দুই বাংলার জলপথের অন্যতম মাধ্যম ছিল। তবে কালক্রমে পলি জমে খালটি সংকুচিত হওয়ায় পাড় ঘেঁষে নতুন সড়ক নির্মাণ করে এলজিইডি।
সড়ক ভেঙে বিপাকে সদর ও দেবহাটার কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জোয়ার-ভাটার কারণে সড়কটি ভেঙে গেছে। রাস্তা দিয়ে একটা অ্যাম্বুলেন্সও আসতে পারে না। আর খাল ভেঙে গিয়ে ২-৩ ফুট বাকি আছে। এরপর আমাদের বাড়িঘর সব বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়ক নির্মাণের পর সম্প্রতি খালটি পুনর্খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারপর থেকেই খালে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। এতে খালের পাড় ভেঙে বিলীন হতে শুরু করে সড়ক। চর-বালিথা থেকে বহেরা পর্যন্ত রাস্তাটি ভাঙলে অন্তত ৩০টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি যুগ্ম সদস্যসচিব আলী নুর খান বাবুল বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি এলজিইডির বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সেখানে রাস্তাঘাট নির্মাণ করতো বা ব্রিজ বানাতো, তাহলে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতো না।’
তবে এলজিইডি বলছে, সম্প্রতি খালের সংযোগস্থলে আড়াআড়ি বাঁধ দেয়ায় জোয়ারের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক। দ্রুতই সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এলজিইডি মো. রাজিউল্লাহ বলেন, ‘গত অর্থবছরে খালের খনন করা হয়েছে ফলে খালের গভীরতা বেড়ে গেছে। খালে নৌ-চলাচল বেড়ে গেছে। যার ফলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর আগেই বলা হয়েছে বাঁধ রক্ষা করার সক্ষমতা আমাদের নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ কাজ করে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবিহিত করা হয়েছে।’
সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন এ বিষয় নিয়ে বলেন, ‘খালের গভীরতা বাড়ার কারণে খালের ফ্লাড প্লানের মধ্যে যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো ভেঙে গিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গেও আলাপ করেছি ,যেন ভবিষ্যতে রাস্তা বা ব্রিজ নির্মাণে ম্যাপ অনুসরণ করা হয়।