কৌশল বদলে গরুর পরিবর্তে ভারত থেকে মাংস আনছে চোরাকারবারিরা

চোরাচালান পণ্য জব্দ
চোরাচালান পণ্য জব্দ | ছবি: এখন টিভি
1

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে মাদক চোরাচালান ছাড়াও প্রতিনিয়ত ঢুকছে ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য। চোরাচালানে কৌশল বদলেছে চোরাকারবারিরা। গরুর পরিবর্তে ভারত থেকে মাংস আনছে তারা। সম্প্রতি পুলিশের হাতে গরুর মাংসের বড় একটি চালান আটকের ঘটনায় আলোচনায় চোরাকারবারিদের নতুন এ কৌশল। যদিও বিজিবি বলছে, চোরাচালান রোধে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তের কাঁটাতার দিয়ে মাদক আসছে ভারত থেকে। মাদক ছাড়াও সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় প্রসাধনী, শাড়ি, থ্রি-পিস, মসলা এবং মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসে চোরাকারবারিরা।

ভারতের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আখাউড়া এবং বিজয়নগরের প্রায় ৭৩ কিলোমিটার সীমান্ত প্রহরার দায়িত্ব বিজিবির ২৫ আর ৬০ ব্যাটালিয়নের। প্রতিনিয়তই এসব সীমান্ত দিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালানি পণ্য ঢুকছে বাংলাদেশে। তবে বিজিবির নিয়মিত অভিযানে জব্দও হচ্ছে অনেক পণ্য। গেল ৭ মাসে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অভিযানে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন চোরাচালানি পণ্য জব্দ করা হয়।

গেল ৩ আগস্ট আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার সামনে একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে আড়াই হাজার কেজি গরুর মাংসসহ দুই চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আনা ভারতীয় এসব মাংস খোলা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো ঢাকার বিভিন্ন হোটেল-রোস্তোরাঁর জন্য।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.খাইরুল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি খোলা ট্রাক আটক করা হয়। ট্রাকটি তল্লাশি করে ভারতীয় ২৫০০ কেজি গরুর মাংস জব্দ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ভারত থেকে অবৈধ পথে এ মাংস নিয়ে আসা হচ্ছিলো।’

জব্দকৃত মাংস রাখা হয়েছে ভৈরবের হিমাগারে। গরুর পরিবর্তে মাংস আনার নতুন এ কৌশলে সতর্কাবস্থায় সীমান্তরক্ষী আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং হবিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে মাদকসহ সবধরনের চোরাচালান রোধেে টহল বাড়ানোর পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও কৌশলী হচ্ছেন বলে জানান ২৫ বিজিবির অধিনায়ক।

২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ বলেন, ‘চোরাচালানকারিরা প্রতিনিয়তই তাদের কৌশল পাল্টায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের রুটগুলোও পরিবর্তন করে। সেক্ষেত্রে বিজিবিও তাদের কৌশল পরিবর্তন করছে তাদের সঙ্গে।’

প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের পাশাপাশি প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনতে সক্রিয় হয় পাচারকারী চক্র।

সেজু